× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির একমাত্র ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মহীপুর হাজি মহসীন সরকারি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যয়নরত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র বাস। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ৫২ সিটের একটি বাস প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদিও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় বাসভাড়ার টাকা কেটে নেয়। ভাড়া নিলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীই বাসে চড়তে পারে না। বাসটি দীর্ঘদিন রাস্তায় চলাচল করে বর্তমানে একেবারে লক্কড়-ঝক্কড়ে পরিণত হয়েছে। বাসটির আসনের দ্বিগুণের অধিক শিক্ষার্থী বাদুড় ঝোলা হয়ে শুধু জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-কলেজ রাস্তায় চলাচল করে। বাসটি জয়পুরহাট-পাঁচবিবি রাস্তায় শিক্ষার্থী পরিবহণ করলেও অন্য রাস্তায় চলাচল করে না। এ কলেজে অধ্যয়নরত অন্য এলাকার শিক্ষার্থীরা বাসভাড়া দিলেও বাসে চড়তে পারে না। উপজেলার শালপাড়া এলাকার একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্রী মোসা. আমেনা খাতুন বলেন, পাঁচবিবি শহর পর্যন্ত কলেজ বাসে যেতে পারলে আমার বাড়ির অর্ধেক পথ যাওয়া হতো। এতগুলো ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি মাত্র বাস। বাসটিতে তিল পরিমাণ জায়গা নেই, সে কারণে ভ্যানেই কলেজে যাতায়াত করি আমিসহ প্রায় সবাই বলেও জানান আমেনা। কলেজের পূর্বদিক সরাইল গ্রামের একই ক্লাসের ছাত্র রিয়াদ হোসেন বলেন, ভর্তির সময় বাসভাড়া ঠিকই নিয়েছে; কিন্ত কোনো দিনও কলেজ বাসে উঠতে পারলাম না। কারণ বাসটি আমাদের ওই দিকের রাস্তায় যায় না, শুধু জয়পুরহাট-পাঁচবিবির রাস্তায় চলাচল করে। কলেজ চত্বরে বাসটিতে দেখা যায় গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার জন্য বাসে উঠেছে। এশিয়া উপমহাদেশের বর্ষীয়ান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৬৯ সালে পাঁচবিবি শহরের দেড় কিলোমিটার পূর্বদিক মহীপুরে কলেজটি স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুভাশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, এতগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাত্র বাস। এ কারণে সবাইকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাসে আনা-নেওয়া করতে পারে না। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পরিবহণের জন্য বাস চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও অধ্যক্ষ জানান।

No comments