× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লোকমান হাসানের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত তিন বছরে তিনি কলেজের এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি যাচাই-বাছাই করলে তার প্রমাণ পেয়েছে। কলেজের শিক্ষকরা জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মো. লোকমান হাসান অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি ওই কলেজের উপাধাক্ষ ও পরিবর্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে— সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুকৌশলে তার স্ত্রী মমতাজ পারভীন ও সহধর দুই রফিকুল ইসলাম তালুকার এবং রাকিবুল ইসলাম তালুকদারসহ চারজনকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি করেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কলেজের টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই করার কলেজের পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৮ মে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আহসান হাবিব, কারিগরি শাখার সহকারী অধ্যাপক মো. হযরত আলী ও প্রভাষক মো. আশরাফ হোসেনকে অডিট কমিটির সদস্য করা হয়। গত ২ জুন অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি তাদের প্রতিবেদন অধ্যক্ষ বরাবর দাখিল করেন। প্রতিবেদন উল্লেখ রয়েছে, গত তিন বছরের অধ্যক্ষ এক কোটি ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ২২৬ টাকার মধ্যে এক কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ২৮৬ টাকা চেকের মাধ্যমে খরচ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সভাপতিকে অবগত না করে সেখানে ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪০ টাকার নগদে খরচ করেছেন। কিন্তু নগদে খরচ করার কোনো নিয়ম নেই বলে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে। চেকের মাধ্যমে এক কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ২৮৬ টাকা খরচ করেছেন। সেখানে শিক্ষকের বাড়ি ও উৎসবভাতা বাবত ৮৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৮ টাকার খরচ সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলেও বাকি প্রায় ২৫ লাখ টাকার সুনির্দিষ্ট কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। এটা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার অনুগত শিক্ষক দ্বারা গঠিত নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদনেই এ অনিয়ম। যদি সঠিক তদন্ত করা হয় তা হলে অনিয়মের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির সদস্যরা শিক্ষক-কর্মচারীদের ও কমিটি বণ্টনের ভাউচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জন্য সব আয়-ব্যয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে সুসম্পন্ন করার জন্য জোর সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. লোকমান হাসান বলেন, যাদের যোগ্যতা ছিল, তারাই অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছিলেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অপর একটি কুচক্র মহল কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব অভিযোগ করেন। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, কোনো অনিয়ম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments