× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



বিধি ভেঙে ভোট চাচ্ছেন এমপি

মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ছয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাদাভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, ইউপি নির্বাচনের আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে সংসদ সদস্য গোলাপ তার নিজ বাসভবনে বসে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং ইউনিয়নে তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন ও কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া তিনি কালকিনির বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কার্যত ভোট চাচ্ছেন। যেসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রার্থীরা হলেন- শিকারমঙ্গল ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম.এ কুদ্দুস বেপারী, কয়ারিয়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ, কামরুল হাসান নুর মোহাম্মদ মোল্লা, চরদৌলতখান ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিলন মিয়া, সাহেবরামপুর ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুর রহিম এবং গোপালপুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফরহাদ মাতুব্বর। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ১ নভেম্বর দুপুরে এমপি আবদুস সোবহান গোলাপ ঢাকা থেকে মাদারীপুর সদরে আরেক এমপি শাজাহান খানের বাসায় আসেন। ওইদিন বিকেল পাঁচটায় এমপি গোলাপ মাদারীপুর সদর থেকে চলে যান তার নির্বাচনী এলাকায়। অবস্থান করেন গ্রামের বাড়ি রমজানপুর এলাকায়। এরপর বুধবার সকালে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আসেন। দলীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবসে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি এমপির নির্বাচনী এলাকার কর্মসূচি থেকে জানা যায়, ৪ ও ৫ নভেম্বর এমপি আবদুস সোবহান গোলাপ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং ৬ নভেম্বর জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় যোগ দেবেন। কালকিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ সরদার বলেন, সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ এলাকায় খুব কম আসেন। ইউপি নির্বাচনে তৃণমূল থেকে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে তিনি তার ‘নিজস্ব ম্যানদের’ মনোনয়ন দিয়েছেন। তাদের বিজয়ী করতে এমপির নিজ এলাকায় এত বড় লম্বা সফর। এর আগে কখনোই এমপিকে একটানা এত দিন থাকতে দেখিনি আমরা। কালকিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিপক বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী এমপি এলাকায় থাকতে পারেন না। শুধু ভোট দিতে আসতে পারবেন। তবে তিনি কী উদ্দেশ্যে নিজ এলাকায় এসেছেন, তা আমরা বলতে পারব না। তার অবস্থান অবশ্যই আইনের পরিপন্থী। এসব বিষয় দেখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া আছে। তারাই এগুলো দেখবেন। কালকিনির ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংসদ সদস্য এলাকায় এসেছিলেন, সেটা আমি জানি। তবে এখনো এলাকায় অবস্থান করছেন কি না, সেটা আমার জানা নাই।’ অভিযোগের বিষয়ে ড. আবদুস সোবহান গোলাপের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন, এমপি এলাকায় আছেন। কারণ তিনি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়াও তিনি সরকারি কিছু সভা-সেমিনারে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালাননি। প্রচারণামূলক কোনো কাজেও তিনি নেই।
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments