ঈশ্বরদীতে স্কুল ছাত্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মানববন্ধন
ঈশ্বরদীতে স্কুলছাত্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। ৬ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন পুলিশি টহল জোরদার, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, স্কুল এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। প্রতিবাদ সভায় একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহিদুল হক শাহীন, ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা রফিকুল হাসান তপন সরদার, স্কুল শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ, আবির হাসান, সাদমান সাকিব প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, সিয়াম ও নিরব নামে দুই বখাটে প্রায়ই সিফাতের আত্মীয় এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সিফাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সিয়াম ও নিরব। ঘটনার দিন গতকাল বুধবার দুপুরে সিয়াম মোবাইলে সিফাত ও ইশতিয়াককে স্কুলের পেছনে বাগানে ডেকে নিয়ে গালি দিতে থাকে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সিফাতকে চাকু দিয়ে কোপায় ও ইশতিয়াককে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আহত ছাত্রের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা আহত দুজনকে স্কুলের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে সিয়ামের বাবা রফিকুল হাসান তপন সরদার মানববন্ধনে বলেন, ‘আমার ছেলে ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। তবে প্রধান আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘আর যেন কোনো সন্তানকে স্কুলে এসে বখাটেদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে না হয়। আমি বাবা হিসেবে সকলের কাছে এটি প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে তিনি বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
হামলার শিকার শিক্ষার্থীর নাম সিফাত হাসান সিয়াম (১৬) ও ইশতিয়াক। তারা ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সিফাত ঈশ্বরদী শহরের রফিকুল হাসান তপন সরদার ও ইশতিয়াক শেরশাহ রোড এলাকার স্বপন শেখের ছেলে। অপরদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত সিয়াম সরদার (১৮) ঈশ্বরদীর গোপালপুর গ্রামের বাবু সরদার এবং নিরব ফতেমোহাম্মদপুর মহল্লার ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করেছে।
ঈশ্বরদী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গতকালকেই গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রধান আসামি পলাতক রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#
No comments