× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



তিন দশকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার যত রেকর্ড

প্রচলিত আছে ‌‌'মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে বাঘও পালায়'। এ প্রবচনটি অনেকটা বাস্তবেও প্রকাশ পেয়েছে এবার। মাঘের শুরু থেকে শীতের দাপট দেখছেন দেশের মানুষ। শীতের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশায় অনেক এলাকায় দেখা মিলছে না সূর্যেরও। বেশ কয়েক জেলায় কদিন ধরেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। হাঁড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেড়েছে শীতজনিত রোগও। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সাক্ষী হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়; তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫-এর ঘরে। আজ তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এদিন এ দুই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের ইতিহাসে এর চেয়েও কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকবার। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একইদিন সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া এদিন নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এরও আগে, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এদিকে দেশের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, এ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়বে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে বিমান, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় দিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনে সামান্য বাড়তে পারে। পরে তৃতীয় দিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টির প্রবণতা দেখছে আবহাওয়া অফিস।

No comments