ইতিবাচক উন্নয়নে আদিবাসীদের পাশে থাকব- সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
ঈশ্বরদীতে ৫দফা দাবিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। “আত্ম নিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে, আদিবাসী তরুণরাই মূল শক্তি” প্রতিপাদ্যে ৯ আগস্ট বুধবার উপজেলার বিএসআরআই মিলনায়তনে ঈশ্বরদী উপজেলা আদিবাসী পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচী পালিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র মোঃ ইছাহক আলী মালিথা, বিএসআরআই পরিচালক (টিওটি) ড. ইসমত আরা, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, মুলাডুুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক মালিথা, খেলাঘর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, সাবেক ভিপি ও ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ মালিথা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ দেলওয়ার হোসেন ডিলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফারহা তানজিম তিতিল। এসময় আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী পরিষদ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত মুন্ডারী, সন্তোষ সরদার, সুবর্ণা সরকার ও সাবিনা বিশ্বাস।
বক্তারা বলেন, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন ইউনিয়নেই আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। আদিবাসী বসতি থাকায় ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বিশেষ পরিচিতি আছে। এখানকার ৯ গ্রামে ১৩টি উপজাতির লোকজন বসবাস করছে মিলেমিশে। লোকসংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। তবে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না। এখনও অনেকের অন্ন জোটাতে হয় তীর-ধনুকে সাপ, খরগোশ, কুঁচিয়া, শিয়াল, পাখি, কচ্ছপসহ প্রাণী শিকার অথবা দিনমজুরি করে।
উপজেলার অন্যান্য গ্রামে বসবাসকারী মুন্ডারি, পাহাড়ি, মালপাহাড়ি, চুনকার, বাদ্যকার, সর্দার, বানিয়ার্স, শৈলেন, বাগদি, লোহারা, কার্ডও পাননি। মুসিরি, কুইমালি ও মাহাতোদের পেশাও প্রায় অভিন্ন। এখনও দুই বেলা খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন অধিকাংশ আদিবাসী। সাধারণ কৃষি শ্রমিকদের হাজিরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হলেও আদিবাসী কৃষি শ্রমিকরা পান ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
তাদের কয়েকজনের সামান্য জমি থাকলেও তা চাষ করে দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়; কিন্তু জীবনমান পাল্টায় না। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না। তাদের পল্লিতে। পান না সরকারি অনেক সুবিধা। ঘরবাড়ি বলতে কয়েকটি ঝুপড়ি থাকলেও যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা নেই। এসব দেখারও যেন কেউ নেই। পার্শ্ববর্তী অন্য গ্রামগুলোয় অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হলেও উপজাতিদের জন্য নেই নিজস্ব ভাষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। বৈষম্য যেন তাদের নিয়তি। দীর্ঘসময় আদিবাসী নেতৃবৃন্দের কথা শুনে আগামীতে মৌলিক অধিকারসহ সকল বৈষম্য দূর করে ইতিবাচক উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMeBcuIpk-o8GM12yxVmB1UpJlaJGUsBVbrxG7svttF0DTlT614p_vbs6QWe_sP6i4j6nX1vRFC0JwRd_E46MGWOE4SbS4i0pD3gQBFrtux_XqHB8Y6ErTTj0-1xKNI6YyzZ-6KyUR0rsu/s0/received_256488136331464.jpeg)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMeBcuIpk-o8GM12yxVmB1UpJlaJGUsBVbrxG7svttF0DTlT614p_vbs6QWe_sP6i4j6nX1vRFC0JwRd_E46MGWOE4SbS4i0pD3gQBFrtux_XqHB8Y6ErTTj0-1xKNI6YyzZ-6KyUR0rsu/s0/received_256488136331464.jpeg)
No comments