× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা প্রকাশ করে বেকায়দায় ইউপি চেয়ারম্যান!

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাসিক আইনশৃঙ্কলা সভায় ছনহরা ইউনিয়নে ৭০ জন কিশোরগ্যাং সদস্যের নাম প্রকাশ করে এদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে অনুরোধ করায় বেকায়দায় পড়েন ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতি। সভায় তিনি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, কিশোরীদের হয়রানি, এক মাসে তিন কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তুলে নিয়ে যাওয়া, ছিনতাই ও এক কিশোর খুনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম তার বক্তব্য থামিয়ে দেন এবং তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন। এরপর আওয়ামী লীগের অনুসারী অন্য চেয়ারম্যানরা ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিয়ে সভায় হৈচৈ শুরু করেন। প্রতিবাদে চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সভা বর্জন করেন। রবিবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ছনহরা ইউনিয়নের মাদকের ভয়াবহতা, কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন, আইন-শৃংখলা কমিটির অবনতি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ছনহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী। তাকে মাঝপথে থামিয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। চেয়ারম্যান উদাহারণ সহকারে বক্তব্য চালিয়ে যেতে চাইলেও তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় অন্য চেয়ারম্যানরা হৈ চৈ শুরু করেন। আবদুর রশিদ দৌলতি তার বক্তব্যে বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাং ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। কিশোর গ্যায়ের উপদ্রবের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা এবং এক মাসের ব্যবধানে ৩ কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠিকানা সহকারে প্রকাশ করা হয়। তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রাজনৈতিক হতে পারে না। কিন্তু তাকে বক্তব্য দিতে না দিয়ে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। এরপর আরো কয়েক চেয়ারম্যান আপত্তির কথা বলতে থাকেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যান দৌলতী আইন-শৃংখলা অবনতির কথা নয়, মূলত বিএনপির এজেন্ডা তুলে ধরেছেন। তিনি নিয়মিত সভায় আসেন না। আজ সভায় এসে রাজনৈতিক কনসেপ্ট বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন। তার কথায় মনে হয়েছে দেশে কোনো সরকার নেই। তাই অন্য চেয়ারম্যানরা প্রতিবাদ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন বলেন, সভায় চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী তার বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েক জন চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন, আর কিছু না। সভায় উপস্থিত আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম বলেন, আবদুর রশিদ দৌলতী তার বক্তব্যে সব চেয়ারম্যানদের নিয়ে ঢালাওভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি তাকে বললাম তার বক্তব্যটি সুনির্দিষ্ট করে চেয়ারম্যানের নামসহ বলতে। তিনি তা না করে সব সব চেয়ারম্যানদের নামে বক্তব্য চালিয়ে যাচ্ছে তখন আমি প্রতিবাদ করলাম। তখনও আমি তাকে বললাম আমি অপরাধ করলে আমার নামও বলেন।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments