× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



হাবিবকে প্রতিহতের ঘোষণা সিরাজুল ইসলাম সরদারের

পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার। এছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী আটঘরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।এদিন বেলা ১১টার দিকে আটঘরিয়ার শ্রীপুরে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। শ্রীপুরে প্রথম পথসভার পর একদন্ত, ইসলামপুর, বাওইখোলা, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পথসভা শেষে বিকেলে আটঘরিয়ায় পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। পথসভায় সিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘হাবিব বিএনপির নেতাকর্মীদেররে বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের দিয়ে পাবনায় বিভিন্ন পৌর-উপজেলায় কমিটি করেছে। এই সুবিধাবাধী চক্র বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। এদের দিয়ে আন্দোলন সংগ্রম সম্ভব নয়, এরা বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী, এই অনুপ্রবেশকারীদেরকে আমাদের রুখে দিতে হবে। আমাদের মতো প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমাদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আজকের এই হাবিব আমার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন যদি হাবিব জিতত তাহলে আজকে বিএনপির সবচেয়ে বড় শত্রুতে পরিণত হতো হাবিব। ১৯৯৬ সালেও যদি হাবিব আওয়ামী লীগের আরেকবার মনোনয়ন পেত তাহলেও আজকে হাবিব বিএনপি বড় শত্রু হতো।’ তিনি বলেন, ‘হাবিব বিএনপিতে আসার পর আমি দুইবার মনোয়ন পেয়েছিলাম। সেই সব নির্বাচনী হাবিব সবাইকে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য বলেছিল। পুরো ঈশ্বরদী-আটঘরিয়াবাসী তার স্বাক্ষী। কিন্তু আমি ঘোষণা দিলাম- এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর স্বার্থে যেই মনোনয়ন পাবে তাইকে বিজয়ের জন্য কাজ করবো।’ রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে সিরাজ বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এই দেশনেত্রী বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথে থাকতে হবে।’ বিক্ষোভ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মৎস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল রশিদ সরদার, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পদক আবু তালেব ফকির, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সেন্টু, লক্ষীকু-া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী বিশ্বাস, মুলাডুলি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ, সাবেক নিবাহী সদস্য আবুল কালাম সরদার, আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান, লক্ষীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফ সরদার, আটঘরিয়া পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, মাঝপাড়ার ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ম-ল, একদন্ত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালাম সূত্রঃ সংবাদ সারাবেলা।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments