× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ঈশ্বরদীতে ৩ লক্ষ টাকার মূলরহস্য

ঈশ্বরদীতে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্নসাতের চেষ্টার ঘটনায় যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় পাবনা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে ওই যুবকের ছবি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায়, ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোড কাঠালতলায় জনৈক মিন্টুর বাসায় পারভেজ আলীর পুত্র মোসাদ্দেকুর রহমান রাজু ( স্থায়ী ঠিকানা- বাসা এফ/২২ ব্লক ই, জাকি হোসেন রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা ) ভাড়া হিসাবে থাকতো এবং ঈশ্বরদী বাজারে আ্যমবেলা শো-রুমের ম্যানেজার হিসেবে চাকরী করত। তার ভাড়া বাসায় আদুরী নামে একজন কাজের মহিলা ছিল। কাজের মহিলা বিভিন্ন বাসায় কাজ করে যে আয় করত তার একটি অংশ রাজুকে দিয়ে ব্যাংকে রাখত। পুলিশ আরও জানায়, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাজু ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে আদুরীর সম্মতিতে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তোলে এবং আদুরী আরও ২০ হাজার টাকা রাজুকে দেয় এবং বলে ৩ লক্ষ টাকা আদুরীর নামে ন্যাশনাল ব্যাংকে এফডিআর করতে। রাজু আদুরীকে জানায়, টাকা গুলো এফডিআর করা হয়েছে। গত ১৩ জুন আদুরী রাজুকে তার এফডিআরের ৩ লাখ টাকা তুলে দিতে বলে এবং একটি চেক দেয়। রাজু সেই চেক দিয়ে ওই দিনই ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। বেলা অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে সাদা ব্যাগে নিয়ে শেরশাহ রোড আদুরীর বাসায় হেটে যাওয়ার পথে পিছন থেকে একজন মাথার পিছনে মলম জাতীয় কিছু দিয়ে অচেতন করে তার নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে প্রচার করে এবং হাসপাতালে ভতি হয়। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার আচরন ও কথা সন্দেহজনক হওয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সে ১৩ জুন ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে নাই। এমন কি আদুরীর নামে যে ৩ লাখ টাকার এফডিআর করার কথা ছিল সেটাও করে নাই। সে আদুরীর নামে সোনালী ব্যাংকে ২ লাখ টাকার এফডিআর করার জন্য টাকা নিয়ে ১ লাখ টাকার এফডিআর করেছে।এভাবে সে আদুরীর ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাত করে পরিকল্পিত ভাবে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রচার করার চেষ্টা করেছিল। উক্ত ঘটানায় টাকার মালিক আদুরী বেগম বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে রাজুর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানার পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা রুজু করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি রাজুর দেয়া তথ্য ও তার উপস্হাপন মতে ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments