ফাইজারের টিকা পাবে ৫-১২ বছর বয়সীরা
৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যাদের জন্মনিবন্ধন নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করে নেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলার আহ্বান জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোধে অন্যতম কৌশল হলো দ্রুত সময়ে নির্ধারিত জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বাংলাদেশকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের চার দিন আগেই বাংলাদেশ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে।
গত রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৯ জনকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জনকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখের কিছু বেশি। এ হিসাবে ৭০ শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। এছাড়া ২ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম করোনা টিকাদান শুরু হয়। এরপর সারাদেশে ব্যাপকভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। বর্তমানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেয়া হচ্ছে। এগুলো হলো- অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments