× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



বেড়া উপজেলায় সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীর ভিড়

পাবনার বেড়া উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য মোহিত করে তুলেছে ভ্রমণপিপাসু সাধারণ মানুষকে। বেড়া উপজেলার আলভী সজীব নামের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করা এক তরুণ উদ্যোক্তার গড়া সূর্যমুখী বাগান দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষের ঢল নামে। বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামের আলভীর সূর্যমুখী ফুলের বাগানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও এলাকার নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থীসহ ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তাদের কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলছে, কেউ আবার ফুলের সৌন্দর্যের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখছে। বিজ্ঞাপন সব মিলিয়ে ফুলের সৌন্দর্যে পর্যটকরা যেন ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে এক অপার্থিব আনন্দলোকে, দর্শনার্থীদের মুখেও যেন ছড়িয়ে পড়ছে সূর্যমুখীর হাসি। তার সাথে বাড়তি বিনোদন যোগ করেছে এই উদ্যোক্তার নেওয়া পদক্ষেপ―বাগানের ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য ছবি তোলা এবং সাময়িক বিশ্রামের জন্য বসার ব্যবস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক লাভ আকৃতির ফটোসেশন জোন এবং উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। বাগান মালিক আলভী সজীব কালের কণ্ঠকে বলেন, 'করোনাকালীন অবসরে বসে না থেকে কিছু করার প্রয়োজন ও মানুষকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গত বছর এবং এবার এই সূর্যমুখী চাষ করি। গত বছর ২৮ শতাংশ জায়গায় আমরা প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক সূর্যমুখী চাষ করেছিলাম। ভালো ফলন, সেই সঙ্গে লাভবান হয়েছিলাম। তারই ফলশ্রুতিতে এ বছর প্রায় আড়াই বিঘা নিয়ে বাগান করা হয়েছে, যেটা ব্যক্তি উদ্যোগে পাবনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম সূর্যমুখী বাগান। জমি চাষে আমাদের প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে অনেক ফুল এখন গাছে আছে। তা দিয়ে আশা করছি লাভবান হতে পারব। ' তিনি আরো বলেন, '৩০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করলে যেমন তেল হয় সূর্যমুখীতেও তা-ই হবে। কিন্তু সূর্যমুখীর খরচ ও রোগবালাই কম। তেল বিক্রি করে লাভবান হলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে প্রজেক্ট আকারে চাষ করব এবং জায়গার পরিমাণ বাড়াব। সেই সঙ্গে স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম চাষ করব। ' বেড়া উপজেলা কৃষি অফিসার নুসরাত কবীর বলেন, সূর্যমুখী তেল অনেক উন্নতমানের ও স্বাস্থ্যসম্মত। সরকার সূর্যমুখীর চাষ বাড়াতে কৃষককে বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৫১৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ২৪৬ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে ১৮৭ মেট্রিক টন তেল উৎপাদন সম্ভব বলে জানা গেছে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments