× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



নির্বাচনে কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা প্রার্থীর

নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম যুবরাজ। তিনি সিরাজদিখান থানা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর নিজ বাড়িতে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) তার দেওয়া ঘোষণাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া হাসপাতালে গেলে চিকিত্সা ও সংসার খরচের দায়িত্বও নেবেন বলে জানান ওই প্রার্থী। ভিডিওতে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম বলছেন, আমার নির্বাচন করতে গিয়ে যদি কোনো কর্মী মারা যান, তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর যদি খুনাখুনি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, তাহলে আমি সম্পূর্ণ খরচ বহন করব, তার সংসারের খরচও আমি চালাব। সাইফুল ইসলাম বলেন, এই নির্বাচন পারপাসে লোক মারা যেতে পারে। আমার কর্মী যারা তাদের একটা লিস্ট (তালিকা) আছে। এই লিস্টটা করতাছি, এই লিস্টটা আমার কাছে আছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে রাঙ্গামাটিয়া নামের একটি ভোটকেন্দ্রে তিনজন লোক গুলিতে নিহত হন, কিন্তু তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। তিনি দাবি করেন, সে কারণে আসন্ন নির্বাচনে কর্মীদের জন্য টাকা ও সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এতে তার কোনো অন্যায় হয়নি। সিরাজদিখানের ১৪টি ইউনিয়নে আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ৭ ডিসেম্বর। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। ইউনিয়নের ভোটার, আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ও অন্য প্রার্থীরা সাইফুলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী এইচ এম নজরুল ইসলাম টিটু বলেন, সাইফুল চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে কয়েক দিন ধরেই সেটা ঘুরছে। এটা আমিও দেখেছি। তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে। সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, এ রকম কোনো কথা বলে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, করলে ব্যবস্থা নেব। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments