সাভারের রানী মারা গেছে

সাভারের আশুলিয়ার গ্রাম চারিগ্রাম এলাকার শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরু ‘রানী’ মারা গেছে। বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির পেটে গ্যাস জমে মারা গেছে বলে জানা গেছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছিলেন খামারি। তবে এর আগে মারা গেল রানী। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফার্মটির প্রাণী চিকিৎসক আতিকুজ্জামান জুয়েল।Advertisement

তিনি জানান, গত বুধবার থেকেই রানীর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় সকালে তাকে সাভারের প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখানেও চিকিৎসা চলাকালীন গরুটি মারা যায়। সাভার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আব্দুল মোতালিব বলেন, বেলা দেড়টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার শিকড় অ্যাগ্রো ফার্মের একটি গরু আমাদের কাছে আনা হয়। যার নাম রানী। কিছু দিন আগে গিনেস বুকে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ।Advertisement

তিনি আরো বলেন, গরুটির পেট ফোলা ছিল। এই অবস্থায় তারা চিকিৎসা দেন। তাদের ব্যক্তিগত একজন ডাক্তার রয়েছে তিনি চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় গরুটি আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। এখানে আনার পরে আমাদের ভেটেরিনারি সার্জন, এখানে আরো যারা ছিলেন তারা চিকিৎসা দেন। এর পরেও গরুটির কোনো উন্নতি হয়নি। জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে নওগাঁ থেকে গরুটি সংগ্রহ করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ। গিনেস বুকে নাম লেখানোর জন্য ২ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এর পরই গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করলে বিশ্ব দরবারে রানী পরিচয় লাভ করে।Advertisement

বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ২৬ কেজি আর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি। গরুটির বয়স হয়েছিল ২ বছর। গিনেজ বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের খর্বকায় গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। ৪ বছর বয়সী ওই গরুটি উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ৪০ কেজি। এদিক থেকে রানীই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু। আগামী দেড় মাসের মধ্যে গরুটির নাম গিনেস বুকে ওঠার কথা ছিল।