× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



নবজাতকের ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেললেন নার্স

কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে নবজাতকের হাতের আঙুল কেটে ফেলেছেন মমতাজ পারভীন নামে এক নার্স। শুক্রবার আদ-দ্বীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবার নাম রফিকুল ইসলাম ও মায়ের নাম রিতু। রফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় রেলওয়েতে চাকরি করেন। গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ওই শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির পরিবার ও আদ-দ্বীন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিতুকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী রফিকুল ইসলাম। সেখানি ভর্তি হয়ে সেদিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রিতু। তবে জন্মের পর শিশুটি অসুস্থ ছিল। এজন্য চিকিৎসা দেওয়ার জন্য শিশুটির ডান হাতে ক্যানোলা লাগানো হয়। ক্যানোলা ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকানো ছিল। যাতে নড়াচড়া করলেও ক্যানোলা খুলে না যায়। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে হাসপাতালে নার্স মমতাজ পারভীন তার হাত থেকে ক্যানোলা খুলতে যান। এ সময় ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে শিশুটির একটি আঙুল কেটে ফেলেন তিনি।Advertisement
ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে কেটে ফেলা আঙুলসহ দ্রুত ব্যান্ডেজ করে ঢেকে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। পরে চাপের মুখে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আদ-দ্বীন হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আজ। হাসপাতাল ছাড়ার আগে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন নার্স মমতাজ। শিশুর হাতে লাগানো ক্যানোলা খোলার সময় ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে কাঁচি দিয়ে আমার নবজাতক মেয়ে সন্তানের আঙুল কেটে ফেলেছেন নার্স।Advertisement
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার আদ-দ্বীন হাসপাতালের ম্যানেজার রবিউল আওয়াল বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অসাবধানতাবশত ঘটনাটি ঘটেছে। মমতাজ নামে এক নার্স শিশুটির হাত থেকে ক্যানোলা খুলতে গিয়েছিলেন। এ সময় ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে যায়। অনিচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটে গেছে। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমারা শিশুটিকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

No comments